Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ অক্টোবর ২০২৪

মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরী তথ্য (০৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি: সকাল ১১.৩০ টা)


প্রকাশন তারিখ : 2024-10-06

মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরী তথ্য

(০৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি:  সকাল ১১.৩০ টা)

 

বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত স্টেশন (সে.মি.): ২টি

নাকুয়াগাঁও (ভুগাই নদী, শেরপুর) +৫, গোয়ালকান্দা (জিঞ্জিরাম নদী, জামালপুর) +৫৮।

 

বিগত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস/বৃদ্ধি (সেমি.):

লরেরঘর (যদুকাটা নদী, সুনামগঞ্জ) +১৭৯, জারিয়াজঞ্জাইল (ভুগাই-কংস নদী, নেত্রকোণা) +৭৫, সারিঘাট (সারিগোয়াইন নদী, সিলেট) +৫৮, জামালপুর (পুরাতন ব্রহ্মপূত্র নদী) +৫১, দুর্গাপুর (সোমেশ্বরী নদী, নেত্রকোণা) +৩৪, ময়মনসিংহ (পুরাতন ব্রহ্মপূত্র নদী) +১১, নাকুয়াগাও (ভুগাই নদী, শেরপুর) +৪ ।

 

 

বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.):

চেরাপুঞ্জি (মেঘালয়) ৬২.০ এবং শীলং (মেঘালয়) ৫০.০।

 

বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.):

জারিয়াজাঞ্জাইল (নেত্রকোনা) ৩০৮.০, দূর্গাপুর (নেত্রকোনা) ২৩০.০, মহেশখোলা (সুনামগঞ্জ) ২১৮.০, কুড়িগ্রাম ১৯৪.০, কাউনিয়া (রংপুর) ১৭৮.০, নোয়াখালী ১৫৭.০, যশোর ৭৩.০, কুমিল্লা ৭১.০, পাটেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) ৬৩.০.০, শেরপুর-সিলেট (সিলেট) ৫৬.০, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) ৪১.০. এবং  সিরাজগঞ্জ ৪১.০।

 

ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে ভুগাই নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে শেরপুর জেলার ভুগাই নদী, নাকুয়াগাঁও এবং জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ০৩ দিন ময়মনসিংহ বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতিভারী বৃষ্টিপাতের (>৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা কম রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে, আগামী ২৪  ঘন্টা পর্যন্ত ভুগাই নদীর পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে এবং শেরপুর এবং ময়মনসিংহ জেলার ভুগাই নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। অপরদিকে, আগামী ২৪  ঘন্টায় নেত্রকোণা জেলার কংস নদ ও  সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতল বিপদসীমা অতিক্রম করে সংশ্লিষ্ট কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে ৷ পরবর্তি ০২ দিনে কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী সমূহের পানি সমতল হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

 

সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতিভারী বৃষ্টিপাতের (>৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা কম রয়েছে, যার প্রেক্ষিতে আগামী ০২ দিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী ০১ দিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।

 

সিলেট বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ— সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও খোয়াই নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে মনু নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতিভারী বৃষ্টিপাতের (>৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা কম রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে, আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সারিগোয়াইন, ধলাই ও মনু-খোয়াই নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবতি ০২ দিন হ্রাস পেতে পারে। তবে, আগামী ২৪ ঘন্টায় যাদুকাটা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং সুনামগঞ্জ জেলার সংশ্লিষ্ট কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পরবর্তি ০২ দিনে যাদুকাটা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

 

রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ০৫ দিন পর্যন্ত নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

 

চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা কম রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে, আগামী ০৩ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।

 

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকার  বিরাজমান লঘুচাপটি বর্তমানে গুরুত্বহীন হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আগামী ০২ দিন পর্যন্ত অমাবশ্যার কারণে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিক চেয়ে কিছুটা বেশী জোয়ার এবং উপকূলীয় অঞ্চলের কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) কম প্রবণতা পরিলক্ষিত হতে পারে।

 

 

রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ০২ দিন গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে, এবং পরবর্তী ০৩ দিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।  

 

রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা ও  দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তি ০২ দিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

                                                                                              

ঢাকা জেলা এবং এর নিকটবর্তী প্রধান নদীসমূহ- বুড়িগঙ্গা, টঙ্গী খাল, তুরাগ ও বালু নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে অতিভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা কম রয়েছে।  এর প্রেক্ষিতে, আগামী ০১ দিন পর্যন্ত এসকল নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল এবং পরবর্তি ০২ দিন হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

                                                                                                 

 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র

বাপাউবো, ঢাকা।