Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরী তথ্য (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি: সকাল ১১ টা)


প্রকাশন তারিখ : 2024-09-14

মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরী তথ্য

(১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:  সকাল ১১ টা)

 

দেশের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

গত ১২ ঘণ্টায় মাতামুহুরী নদী বান্দরবান জেলার লামা পয়েণ্টে বিপদসীমার (বিপদসীমার ২৭৮ সে.মি. নিচে) নিচে নেমে এসেছে।

 

বিগত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি (সে.মি.): নারায়ণহাট (হালদা নদী, চট্টগ্রাম) +৮৯ (বিপদসীমার ৪৩৪ সে.মি. নিচে), দোহাজারী (সাঙ্গু নদী, চট্টগ্রাম) +৩৯ (বিপদসীমার ৩৬১ সে.মি. নিচে), বান্দরবান (সাঙ্গু নদী) +৭৭ (বিপদসীমার ৫৩৮ সে.মি. নিচে)।

 

বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.): নেই।

 

বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.):

কক্সবাজার ২২৫, লামা ১৫১, নোয়াখালী ১২৭, চট্টগ্রাম ১২৫, খুলনা ১০০, হরিদাসপুর (গোপালগঞ্জ) ৯০, রাজশাহী ৮২, যশোর ৭৫,  বরিশাল ৭১, টেকনাফ (কক্সবাজার) ৬৬, সাতক্ষীরা ৬০, পটুয়াখালী ৫৭, কুড়িগ্রাম ৫৫, চাপাইনবাবগঞ্জ ৫২ ।

 

চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, গোমতী নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে অপরদিকে হালদা ও সাঙ্গু নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতার প্রেক্ষিতে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

 

ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি  গভীর স্থল নিম্নচাপ অবস্থান করছে এবং আগামী ০২ দিন উপকূলীয় ও দেশের মধ্যাঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (≥৮৯মি.মি/২৪ ঘণ্টা) পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এই সময় ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

 

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ০৫ দিন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তি ২ দিন পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত এসকল নদীসমূহের পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানিসমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ-মনু, সারিগোয়াইন, ধলাই ইত্যাদির পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও খোয়াই নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী ০৩ এই সকল নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র

বাপাউবো, ঢাকা।