Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ অক্টোবর ২০২৪

মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরী তথ্য (০৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি: বিকাল ০৫.০০ টা)


প্রকাশন তারিখ : 2024-10-08

মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরী তথ্য

(০৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি: বিকাল ০৫.০০ টা)

 

বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত স্টেশন (সে.মি.): ২ টি

গোয়ালকান্দা (জিঞ্জিরাম নদী, জামালপুর) +৯৮, কলমাকান্দা (সোমেশ্বরী নদী, নেত্রকোনা) +২৩।

 

বিগত ০৮ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস/বৃদ্ধি (সেমি.):

বৃদ্ধিঃ নাকুয়াগাঁও (ভুগাই নদী, শেরপুর) +৮, কমলগঞ্জ (ধলাই নদী, মৌলভীবাজার) +৪।

হ্রাসঃ বিজয়পুর (সোমেশ্বরী নদী, নেত্রকোনা) -৫, দুর্গাপুর (সোমেশ্বরী নদী, নেত্রকোনা) -৩, কমলাকান্দা (সোমেশ্বরী নদী, নেত্রকোনা) -৫, জারিয়াজাঞ্জাইল (ভুগাই-কংস নদী, নেত্রকোণা) -৬, লরেরগড় (যদুকাটা নদী, সুনামগঞ্জ) -২, সারিঘাট (সারিগোয়াইন নদী, সিলেট) -৮, গোয়ালকান্দা (জিঞ্জিরাম নদী, জামালপুর) -১।

 

বিগত ০৮ ঘণ্টায় দেশের উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.): নেই।

 

বিগত ০৮ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.):

দেরাই (সুনামগঞ্জ) ৩৫.১, গুড়িপুর (ময়মনসিংহ) ৩৪.১, চুয়াডাঙ্গা ৩৩.৫, জারিয়াজাঞ্জাইল (নেত্রকোনা) ৩৩.০, শাল্লা (সুনামগঞ্জ) ৩০.৮, এবং লালপুর (নাটোর) ৩০.০।

 

ময়মনসিংহ বিভাগের জিঞ্জিরাম, ভুগাই-কংস ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে নেত্রকোণা জেলার সোমেশ্বরী নদী কলমাকান্দা এবং জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী, গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ০৩ দিন ময়মনসিংহ বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতিভারী (>৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কম রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে, আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত ভুগাই-কংস নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। আগামী ০৩ দিন নেত্রকোণা জেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির ধীর গতিতে উন্নতি হতে পারে। অপরদিকে, আগামী ১৮ ঘন্টা জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তি ০২ দিন হ্রাস পেতে পারে। এর প্রেক্ষিতে, আগামী ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তি ০২ দিন ধীর গতিতে উন্নতি লাভ করতে পারে।

 

রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত নদ-নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তি ০৪ দিন ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা এবং তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ০৫ দিন গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতিভারী (>৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কম রয়েছে। যার প্রেক্ষিতে আগামী ০২ দিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং পরবর্তি ০১ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

সিলেট বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ— সারিগোয়াইন ও যাদুকাটা নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে মনু ও ধলাই নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে ও খোয়াই নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ০২ দিন মনু-খোয়াই, সারিগোয়াইন, যাদুকাটা ও ধলাই নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং পরবর্তি ০১ দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

চট্টগ্রাম বিভাগের মহুরী, ফেনী, হালদা ও সাঙ্গু নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে, গোমতী ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।* আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতিভারী বৃষ্টিপাতের (>৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা কম রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে, আগামী ০২ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং পরবর্তি ০১ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।

 

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে সক্রিয় লঘুচাপ বিরাজমান নেই। এর প্রেক্ষিতে, আগামী ০২ দিন পর্যন্ত অমাবশ্যার কারণে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশী জোয়ার পরিলক্ষিত হতে পারে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে অতিভারী (>৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) বৃষ্টিপাতের কম প্রবণতা রয়েছে।

 

রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

                                                                                              

ঢাকা জেলা এবং এর নিকটবর্তী প্রধান নদীসমূহ- বুড়িগঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে বালু ও টঙ্গী খাল নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে ও তুরাগ নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে অতিভারী (>৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কম রয়েছে।  এর প্রেক্ষিতে, আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত এসকল নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

                                                                                                 

 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র

বাপাউবো, ঢাকা।