Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরী তথ্য (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি: সন্ধা ০৬.০০ টা)


প্রকাশন তারিখ : 2024-09-30

মৌসুমী বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের জরুরী তথ্য

(৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:  সন্ধা ০৬.০০ টা)

 

দেশের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

বিগত ০৮ ঘণ্টায় দেশের উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.): নেই।

 

বিগত ০৮ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (মি.মি.):

নারায়ণহাট (চট্রগ্রাম) ৮৫.০, রাঙ্গামাটি ৪৪.০ এবং উলিপুর (কুড়িগ্রাম) ২৯.০, নোয়াখালী ২৪.০।

 

রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (≥৮৯ মি.মি/২৪ ঘণ্টা)  প্রবণতা কমে এসেছে। আগামী ৩ দিন পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। এর প্রেক্ষিতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন চরাঞ্চল এবং কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে।

 

রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ— আপার আত্রাই, পূনর্ভবা, আপার করতোয়া, টাঙ্গন ও যমুনেশ্বরী নদী সমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, ইছামতি-যমুনা, ঘাঘট নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৩ দিন পর্যন্ত রংপুর বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।

 

রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানিসমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরবর্তি ০৪ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন পর্যন্ত গঙ্গা নদীর পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ০৩ দিন গঙ্গা-পদ্মা উভয় নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

রাজশাহী বিভাগের আত্রাই, বাঙ্গালী, করোতয়া ও ছোট যমুনা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে মহানন্দা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী ০২ দিন পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

সিলেট বিভাগের সুরমা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১ দিন নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ২ দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার প্রেক্ষিতে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ— মনু, ভুগাই, সোমেশ্বরী, সারিগোয়াইন নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং ধলাই, কংস নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে খোয়াই ও যাদুকাটা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১ দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরবর্তী ০২ দিন সিলেট বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

 

চট্টগ্রাম বিভাগে গোমতী, মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফেনী, হালদা নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে সাঙ্গু নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১ দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরবর্তী ২ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, গোমতী ও ফেনী নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অপরদিকে হালদা, মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।

 

বাংলাদেশ আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুযায়ী, সংশ্লিষ্ট বঙ্গোপসাগর এলাকায় কোন লঘুচাপ না থাকায় আগামী ০৩ দিন পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিক জোয়ার পরিলক্ষিত হতে পারে।

 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র

বাপাউবো, ঢাকা।